তিন সিভিকের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচলো আত্মহত‍্যা করতে আসা যুবকের

22nd November 2020 7:21 pm বর্ধমান
তিন সিভিকের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচলো আত্মহত‍্যা করতে আসা যুবকের


অভিষেক চৌধুরী ( কালনা ) :  আত্মহত্যায় উদ্যত এক যুবককে হাতেনাতে ধরে তাকে প্রাণে বাঁচালেন পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার সিভিক ভলান্টিয়াররা।শণিবার রাতে পুটশুড়ি গ্রামের এমনিই একটি ঘটনার পর ওই যুবককে তুলে এনে তার পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে তার জীবন ফিরিয়ে দেন।এরপরেই তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।মন্তেশ্বর থানা পুলিশের এহেন প্রশংসনীয় কর্মকান্ডে খুশি ওই এলাকার মানুষজন।
                     স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা যায় যে,আত্মহত্যা করতে যাওয়া বত্রিশ বছর বয়সী ওই যুবকের বাড়ি মন্তেশ্বর থানার পুটশুড়ি গ্রামে।পেশায় সে গাড়ির চালক।বেশ কয়েমাস ধরেই স্ত্রীর সাথে খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে তার অশান্তি লেগেই থাকে।শণিবার তা চরমে পৌঁছায়।এরপরেই ওইদিন সন্ধ্যায় সে বাড়ি থেকে বেপাত্তা হয়ে যায়।বাড়িতে ফোনে জানিয়ে দেয় সে আর বেঁচে থাকতে চায়না। বিষয়টি কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার নূরুল হাসান সেখের কানে আসে।এরপরেই সে  আরো দুই সিভিক মানস ভট্টাচার্য ও অরুণ দত্তকে নিয়ে তন্নতন্ন করে তার খোঁজ শুরু করে।ওই যুবককে না পেয়ে উপস্থিত বুদ্ধির জোরে মন্তেশ্বর থানার ওসি সৈকত মন্ডলকে বিষয়টি জানায় নুরুল।এরপর ওসি ওই যুবকের মোবাইল ফোনের লোকেশন বের করেন।এরপরেই জানা যায় বাড়ি থেকে অদূরেই কোনো এক জায়গায় ওই যুবক অবস্থান করছে।এরপরেই ওই তিন সিভিক ভলান্টিয়ার রাতের অন্ধকারে হন্যে হয়ে খুঁজে স্থানীয় এক জঙ্গলের ভিতরের একটি গাছতলা থেকে ওই যুবককে হাতেনাতে ধরে।ওখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় ও সুস্থ করে তুলে পরিবারের হাতে যুবককে তুলে দেয়।এই বিষয়ে সিভিক ভলান্টিয়ার নূরুল হাসান সেখ বলেন,’শণিবার রাত দশটা নাগাদ পুটশুড়ি এলাকায় পাঁচ ছয়টি মোটরসাইকেল নিয়ে বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে দেখি।সন্দেহ হওয়ায় তাদের জিজ্ঞাসা করতেই যুবকটির মামা জানায় যে তার ওই ভাগ্না স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে।শুধু তাই নয় আত্মহত্যা করবে বলেও সে জানিয়ে যায়।এরপরেই ওই যুবককে বাঁচাতে হন্যে হয়ে খুঁজি।না পেয়ে থানায় বড়োবাবুকে ফোন করি।বিষয়টি জানাই।তিনি ওই যুবকের মোবাইল লোকেশন দেখে আমাদের ওর অবস্থানটা বলে দেন।রাতের অন্ধকারে একটি জঙ্গলের ভিতরের গাছতলা থেকে আত্মহত্যায় উদ্যত ওই যুবককে আমরা ধরে ফেলি ও তাকে ফিরিয়ে আনি।’পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস এই বিষয়ে বলেন,’মন্তেশ্বর থানার সিভিক ভলান্টিয়াররা সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে ভীষন ভালো একটি কাজ করেছে।এই ধরনের কাজ আগামী দিনেও যাতে তারা করতে পারে সেই বিষয়ে তাদের আরো উৎসাহ দেওয়া হবে।’





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।